ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় রাজ্য সরকার। চলতি মাসের শুরুর দিকের মতো বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ডেঙ্গুতে এই পর্যন্ত দিল্লীতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৪০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর জীবানু বহনকারী স্ত্রী এডিস মশা মূলত বাসা-বাড়ি অথবা অফিস-আদালতের আশেপাশে থাকা স্বচ্ছ পানির আধারে জন্মায়। আর দিল্লীতে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঘরের ছাদে আর বাড়ির আনাচে কানাচে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির ভিড় ছিল উল্লেখেযোগ্য। এদিকে, রাজ্য হাসপাতালগুলোতে যেন শয্যা সঙ্কট না হয় সেজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ১০০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষ অবশ্য ডেঙ্গু এত মারাতœক আকার ধারণ করায় সিটি কর্পোরেশনের অব্যবস্থাপনা, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন এবং সময়মত পরিদর্শনের অভাবকেই দায়ি করছে। দিল্লীতে অবস্থিত স্বামী দয়ানন্দ হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যানেট স্টিফেনস বলে, ‘এত রোগিকে তত্ত্বাবধান করতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। হাসপাতালের শয্যাগুলো ইতোমধ্যে রোগিতে ভরে গেছে। তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে বলে সে বলে।’
অনেকেই আতঙ্কজনিত কারণে আক্রান্ত না হয়েও হাসপাতালে এসে ভিড় করছে বলেও জানান জ্যানেট। দিল্লী সরকার এমনিতেই গতকয়েকদিন আগে এক দম্পতির আতœহত্যা নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। তার ওপর আবার ডেঙ্গু আক্রান্তে সয়লাব পুরো অঞ্চল। এদিকে রাজিব গান্ধী হাসপাতালে রোগিদের সার্বিক পরিস্থিতি সচক্ষে দেখতে গিয়েও দিল্লী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছে, ‘দিল্লী সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে’।
১টি মন্তব্য