কিছু মানুষ বাঙ্গালিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনায়েশে মুসলমানিত্ব ভুলে যায়। যারা রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বলে জেনে ও মেনে তৃপ্তি বোধ করে ।তারা তার চরিত্রিক ও পারিবারিক সত্যতা কোনভাবেই মানতে চায় না। রবীন্দ্রনাথ মানেই নাকি বাঙ্গালীত্ব। অথচ ভারতবর্ষের অনেক ঐতিহাসিকগণ রবীন্দ্রনাথের ইতিহাসের অঙ্গহানি না করে সত্য প্রচার করেছেন।
মূলত চারিত্রিক দোষের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ছিল সাম্প্রদায়িক(ইসলাম বিদ্বেষী) ও ইংরেজদের পা চাটা দালাল (নতুবা নোবেল পেতে না)। ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, ভারতে অনেক জাতি ও উপজাতি আছে। নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধানের কথা জানা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ হিন্দু আর মুসলমানদের নিয়ে লিখছে। মুসলমানদের যবন, ম্লেচ্ছ, ইতর, গো-খোর বলে উল্লেখ করেছে।
যেমন ‘রাজা প্রজা’ প্রবন্ধে লিখেছে-
“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেনীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্র খন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজের প্রতি।…কেহ বলিল মুসলমানদের বস্তিগুলো একেবারে উড়াইয়া পুড়াইয়া দেওয়া যাক”।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণ-মন-অধিকায়ক জয় হে-ভারত ভাগ্য বিধাতা….’এটি রচিত হয়েছিল স্বাধীনতার পূর্বে ১৯১২ সালে।অত্যাচারী ইংরেজ সরকারের প্রতিনিধি ৫ম জর্জ যখন দিল্লির সিংহাসনে উপবিষ্ট তখন রবীন্দ্রনাথের লেখা এ কবিতার ৫ম জর্জকে ‘ভারতের ভাগ্য বিধাতা’ বলে উল্লেখ করে সেটা উপহার দেওয়া হয়েছিল।
এবং পরবর্তীতে ভারতের সাধারণ ও রাজনৈতিক মহলে খুব তোলপাড় হয়েছিল।
যাই হোক, কবিকে সম্মান করা মানে এই নয় যে তার জীবনের ইতিহাস চেপে দিতে হবে।প্রকৃত ভক্তদের উচিত ইতিহাসের সত্যতা জেনে- মেনেই শ্রদ্ধা ভক্তি করা ।