লিখেছেন: উসওয়াতুন হাসানাহ | তারিখ: সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সময়: ১১:৩১ অপরাহ্ন |
সূর্যাস্তের প্রায় তিন ঘন্টা পর সেরিংগাপটমের শহর, কেল্লা ও মহলের উপর ইংরেজদের পূর্ণ অধিকার কায়েম হলো। শহরের চার দেওয়ালের ভিতরে মহীশূরের বারো হাজার যোদ্ধার লাশ ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানী ও মীর নিযাম আলীর সিপাহীদের বিজয় অসম্পূর্ণ। সুলতানের সন্ধানে তারা মহলেরর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুলতান টিপুর বিশ্বস্ত অফিসারদের ঘরে ঘরে তালাশী চালাচ্ছে। ছোট ছোট শাহজাদাদের ( সুলতানের ছেলেদের) ধমক দেওয়া হচ্ছে। সুলতানের কোন অফিসার কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারলো না , আর যারা তাদের প্রিয় শাসককে ভূপতিত হতে দেখেছেন তাদেরকে কোন ভীতি ,কোন লোভ সুলতানের শাহদাত সম্পর্কে বলাতে পারলো না।
কেউ কেউ সুলতানকে যিন্দা মনে করে উনাকে লাশের স্তুপ থেকে বের করার বাঞ্চিত সময়ের ইন্তেযার করছিলেন আবার কেউ কেউ (সুলতানের মৃত্যু সম্পর্কে যাদের বিশ্বাস ছিলো) দুশমনের নাপাক হাত সুলতানের দেহ স্পর্শ করবে, এটা তাদের কাছে অবাঞ্চিত ছিলো।
সুলতান শহীদ হয়েছেন, কিন্তু উনার বিশ্বস্ত সাথীরা উনার লাশ কোথাও গোপন করেছেন। সুলতান শহীন হন নি, যখমী হওয়ার পর কোথাও গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়লো সবার কাছে। ইংরেজরাও গুজব দ্বারা প্রভাবিত হলো , যে সব গাদ্দররা মহীশূরের আযাদীর বিনিময়ে ইংরেজদের কাছ থেকে বড় বড় জায়গীরের ওয়াদা নিয়েছিল তাদের জন্য ছিলো অন্তহীন উদ্বেগের কারণ।

Views All Time
2

Views Today
2
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করতে আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে