সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সব মানুষের সাথে সদাচরণের শিক্ষা দিয়েছেন। বিশেষ করে সমাজের অবহেলিত দুঃস্থ, অসহায়, ইয়াতিম-মিসকিন এবং মজলুম মানুষের প্রতি বিত্তবানদের রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সব অসহায় মানুষকে দান ও সহযোগীতার প্রতিও অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عن حضرت عائشة صديقة عليها السلام ان رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بكبشين اقرن يطآ فى سواد ويبرك فى سواد وينظر فى سواد فاتي به ليضحى به قال يا عائشة عليها
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে দেয়া আবশ্যক পবিত্র কুরবানী একটি ওয়াজিব ইবাদত। প্রত্যেক ছহিবে নিছাবের উপর পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র কুরবানী উনার রক্ত-গোশত
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমাদেরকে যা আদেশ মুবারক করা হয়েছে তার উপর ইস্তিক্বামত থাকো।’ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক হচ্ছে- সামর্থ্যবান প্রত্যেকের পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে। অর্থাৎ সামর্থ্যবান প্রত্যেকের জন্যই পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর ফারুক রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি কী? আমরা পাঠ্যপুস্তকে পড়ে এসেছি যে, তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পূর্বে প্রকাশ্যে ইসলাম পালন কেউ করতে পারত না। অতি গোপনে, পরিচয় গোপন রেখে তখন
পবিত্র কুরবানীর ঈদের দিন বৃষ্টির পানির সাথে কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহিত হয়েছিলো শহরের অলিতে গলিতে, বিভিন্ন রাস্তায়। কিছু কুরবানীবিরোধী মিডিয়া ও কথিত পরিবেশবাদী এসব রাস্তার ছবি নিয়ে খুব হায় হুতাশ করেছে। ছবিগুলো সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্য
জাওয়াব: যাকাত, ফিতরা, কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য ইত্যাদি গরিব, মিস্কীন ও ইয়াতীমদের হক্ব অর্থাৎ ওয়াজিব ছদ্কা (আদায় হওয়ার জন্য) গরিব, মিস্কীন ও ইয়াতীমদেরকে তার (ছদ্কার) মালিক করে দেয়া শর্ত। তাই যে সকল মাদাসায় লিল্লাহ বোডিং অর্থাৎ গরিব, মিস্কীন ও ইয়াতীম
জাওয়াব: আমাদের হানাফী মাযহাব মতে মালিকে নিছাব প্রত্যেকের উপর আলাদাভাবে কুরবানী করা ওয়াজিব। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই কুরবানী করতে হবে। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব সে তার নামে কুরবানী না করে মৃত বা জীবিত অপরের নামে কুরবানী করলে ওয়াজিব
জাওয়াব: যারা বলে, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হয় তার গোশ্ত পিতা-মাতা খেতে পারবে না তাদের সে কথা শরীয়তসম্মত নয়। শরীয়তের মাসয়ালা হলো, আক্বীকার পশুর গোশতের হুকুম কুরবানীর পশুর গোশতের হুকুমের মতো। কাজেই, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হবে
জাওয়াব: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে- (১) মুসলমান হওয়া, (২) স্বাধীন হওয়া, (৩) মুক্বীম হওয়া, (৪) বালেগ হওয়া, (৫) মালিকে নেছাব হওয়া। কাজেই মুসাফিরের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, যদিও সে মালিকে নেছাব হোক না কেন। কিন্তু যদি সে কুরবানী
জাওয়াব: মসজিদ ও ঈদগাহে ইমামতি করা বাবদ উক্ত টাকা ইমাম ছাহেবকে দেয়া জায়িয হবে না। অবশ্য ইমাম ছাহেব যদি ফিতরা ও কুরবানীর ছাহিবে নিছাব না হন, তাহলে দান হিসেবে উক্ত টাকা নিতে পারেন। কিন্তু ছাহিবে নিছাব হলে, তা নিতে পারবেন না।
জাওয়াব: কুরবানী মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক-এ করতে হবে। যেমন- بسم الله الله اكبر উচ্চারণ: “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে কুরবানী করতে হবে। এখন যদি কেউ কোনো ব্যক্তির নামে, হোক সে জীবিত অথবা মৃত-এর নামে করে, যেমন- “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” এর