পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দাইয়ুছ পবিত্র জান্নাত উনার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।” যে ব্যক্তি নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থদের পর্দা করায় না- সে ব্যক্তিই দাইয়্যুছ। এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে বুঝা গেল যে, দাইয়ুছ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না বরং তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আর পর্দা করা প্রত্যেক মহিলাদের জন্য ফরযে আইন। কিন্তু কেউ যদি পর্দা না করে সে একটি ফরয তরক করলো এবং কবীরা গুনাহে গুনাহগার হলো। নাউযুবিল্লাহ।
পর্দা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে মহিলাগণ!) তোমরা তোমাদের গৃহে অবস্থান করো। জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মতো তোমরা তোমাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বাইরে বের হইও না।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা বুঝা গেল যে, আমাদের উচিত খালিছভাবে পর্দা করা এবং বেপর্দা না হওয়া।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে দেখায় এবং যে দেখে উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” কেউ কি লা’নতপ্রাপ্ত হতে চায়? আসলে কোনো ঈমানদার-মুসলমানই লা’নতগ্রস্ত হতে চায় না।
তাই আমাদের উচিত হবে- মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হয়ে খালিছভাবে পর্দা করা। আর আমরা যেন হাক্বীক্বীভাবে পর্দা করতে পারি, সেই তাওফীক্ব মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাই। (আমীন)