লিখেছেন: শাওন | তারিখ: মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬ সময়: ৬:২২ পূর্বাহ্ন |
আগে কয়েকটি খবর দেখুন পরে মুল কাহিনীটা বলব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে বিশ্বজুড়েই ধর্ম পালন ও ধর্মীয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে যাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
রিপোর্ট করেছে- নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
(সুত্রঃ http://goo.gl/mln8a8)
কংগ্রেস বাজেট দিতে অসমর্থ হওয়ায় শাটডাউনের প্রভাব পড়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর ওপর
কংগ্রেসের সামনে গায়ে আগুন
(সুত্রঃ যুগান্তর ডেস্ক, http://goo.gl/XgFzkZ)
-আর এক সপ্তাহ, ঋণ সঙ্কট ঘনিয়ে আসছে আমেরিকায়
-১৭ অক্টোবর মার্কিন সরকারের ঋণ নেবার ঊর্ধ্বসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে
-মার্কিন সরকারের হাতে ৩০০০ কোটি ডলার থাকা এবং সাধারণ নাগরিকের ব্যাঙ্কে ৩০ ডলার থাকা একই কথা
-প্রায় ১০ লক্ষ সরকারী কর্মী ‘ছুটিতে’ রয়েছেন। কাজ করছেন কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না, এই সংখ্যাও কয়েক লক্ষ
-অর্থনীতিবিদদের হিসেব, বরাদ্দ করা নেই অথচ দায় রয়েছে এমন ঋণের পরিমাণ ১২৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি
(সুত্রঃ নতুন বার্তা ডেস্ক, http://goo.gl/mTQr08)
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খবরে দেখা যাচ্ছে আজ থেকে তিন বছর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন-অফিসিয়ালি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাদের জনগন খেতে পরতে পারছে না। আন্তর্জাতিক ঋণ নেবার সীমাও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগই তাদের অর্থনৈতিক ধ্বস এর মুল কারন। এটাকেই মুসলমানরা মহান আল্লাহপাক উনার নাযিলকৃত আযাব-গযব বলে থাকেন। গত দেড় দশকের অধিক সময় ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা এবং মুসলমান দেশগুলোতে “আইএস” দমনের নাম করে লুটপাট করার ফল হিসেবে এসব আযাব-গযবকে চিহ্নিত করা হয়েছে। (সুত্রঃ আল-ইহসান মতামত, http://goo.gl/vG5S0J)
এখন প্রথম খবরটার দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখব যে, বিডিনিউজ২৪ডটকম নামক দালাল মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে যে- যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন-ইউএসসিআইআরএফ ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন ঘটছে, এমন দেশ ও অঞ্চলগুলোকে নিয়ে কয়েকটি শ্রেণির তালিকা করেছে। অবস্থা গুরুতর না হলেও উদ্বেগের- এমন শ্রেণিতে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে।
এ যেন ফুটপাথের ল্যাংড়া ফকিরের নিদ্রা বিলাসিতা। ফুটপাথের ফকির যদি বলে যে তার কোলবালিশ ছাড়া ঘুম আসে না তবে সেটা মারাত্মক বেমানান শোনায়।
অর্থনৈতিক ধ্বস, দেউলিয়া-প্রায় যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের দেশের মহাকাশ সংস্থা নাসা সহ বেশীরভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে, জনগন ক্ষোভে রাস্তায় নেমে আত্মহত্যা করছে। সেখানে যদি যুক্তরাষ্ট্র অতি আগ্রহী সেজে বলে যে পৃথিবীর বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে তবে সেটাও ওই ফকিরের কথার মতো অযৌক্তিক এবং অবান্তর বৈ শোনাবেনা।
ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ সহ অনেক দেশই আমাদের বাংলাদেশ পানে সারাক্ষন তাকিয়ে রয় এবং লালা ঝরায়। ঝরাবে না কেন? আমাদের জাতীয় রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ছুয়েছে যা ভারতের পরে উপমহাদেশে সর্বোচ্চ রিজার্ভ। উল্লেখ্য, ভারত আমাদের দেশের প্রায় ২২ গুন বড় এবং জনসংখ্যা প্রায় দশগুন বেশী। সে হিসাবে আমরা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।
আমাদের দেশের কৃষি ও প্রানী সম্পদের বৈচিত্র্য এবং প্রাচুর্য বিশ্বের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। আমাদের জনপ্রতি মাথাপিছু আয় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সর্বোপরি, আমাদের দেশের খনিজ সম্পদ, কৃষি সহায়ক জলবায়ু এবং নবজাগরিত চর তথা ক্রমবর্ধমান ভুমি বিশ্বের মাঝে বিস্ময়করই বটে।
এখন কিন্তু হিসাব মেলানো অত কঠিন হবে না। একে একে সব কড়া মিলালেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।
দেখুন, “যুক্তরাষ্ট্র পয়সার অভাবে দেউলিয়া। এই জন্য নিজের করুণ অবস্থা সত্বেও বিশ্ব রাজনীতিতে অতিরিক্ত নাক গলায়। ধর্ম স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি সস্তা এবং লোক ভুলানো শব্দ দিয়ে একেক দেশের মিডিয়ার কাঁধে চড়ে। তারপর “আইএস” নামক কথিত সংগঠন এর দোহাই দিয়ে টার্গেটকৃত দেশে সেনা পাঠিয়ে দেশটি দখল করে নেয়।”
এক্ষেত্রে মুনাফিক তথা বেইমান, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং দালালের ভূমিকা পালন করে মিডিয়া। সরকারকে চাপের মুখে ফেলে জোরপূর্বক আইএস এর অস্তিত্ব স্বীকার করিয়ে নেয়। এরপর দেশটি পরাধীনতার শিকলে চিরতরে বাধা পরে যায়।
আমাদের দেশের প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪ডটকম, ৭১ টিভি ইত্যাদি দেশদ্রোহী, দালাল মিডিয়াকে ব্যান করা না হলে সেইদিন দূরে নয় যখন মিডিয়ার চাপের মুখের সরকার মহলের কেউ মুখ ফসকে আইএস অস্তিত্ব স্বীকার করে নিবে। এরপর আমাদের ভাগ্য আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ার মুসলমানদের মতো হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করতে আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে