মুসলিম শিক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি ভর্তি ফি আদায় করায় কলেজের অধ্যক্ষকে আইনি নোটিশ
একাদশ শ্রেণী ভর্তি ফীতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি ফি আদায় করায় সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ওই প্রফেসর স্বাক্ষরিত একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ২৭৮০ টাকা ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ২৭৩০ টাকা ভর্তি ফী নির্ধারণ করা হয়েছে। যা মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক। আর কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের ধর্মীয় পরিচয় ভিত্তিক ফী নির্ধারণের সুযোগ বাংলাদেশের আইনে নেই। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে: সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। একইভাবে, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে আছে: কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না। অথচ উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে- যা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানপরিপন্থী ও বেআইনি।
নোটিশদাতা আরও জানান, এ ধরণের ধর্মীয় বৈষম্যমূলক ফী নির্ধারণের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ধার্যকৃত বৈষম্যমূলক ফী নির্ধারণের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।