আপনি সৎ ও পরহেযগার থাকতে চান। তাই সুদ-ঘুষ খান না, অন্যের হক্ব নষ্ট করেন না, অবৈধ পথে উপার্জন করেন না। কিন্তু এত কিছুর পরও আপনার উপার্জন হালাল হচ্ছে না, বরং আপনি হারাম খাচ্ছেন। আশ্চর্য হচ্ছেন এই কথা শুনে? আশ্চর্য হওয়ারই কথা। কারণ আপনি নিজেকে সৎ ও পরহেযগার দাবি করলেও যাকাত-উশর সম্পর্কে আপনার ধারণা মোটেই স্পষ্ট নয়। তাই হালাল উপার্জন করার পরও মাল-সম্পদের যাকাত ও ফসলের উশর আদায় না করার কারণে আপনার হালাল উপার্জন, মাল-সম্পদ, খাদ্যশস্য সব কিছুই হারাম হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র বুখারী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমার উপর যাকাত ফরয হলে যদি যাকাত না দাও, তবে এই হারাম ওই হালালকে ধ্বংস করে ফেলবে।”
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি প্রায়শঃ বলতেন, যাকাতের সম্পদ যে সম্পদের সাথে মিশ্রিত হয় সেটা ওই সম্পদকে ধ্বংস করে দেয়। অর্থাৎ হারামের মিশ্রণ হালালকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।”
পবিত্র তবারানী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, স্থলে এবং পানিতে যেখানেই কোনো সম্পদ ধ্বংস হয়, তা হয় কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে।”।
সুতরাং নিজের রিযিককে হালাল রাখতে চাইলে অবশ্যই মাল-সম্পদের যাকাত ও ফসলাদির উশর আদায় করতে হবে।