মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কাফির-মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমরা তোমাদের গোসসায় মরে যাও তথা ধ্বংস হয়ে যাও।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি যালিম বা অত্যাচারী সে যেই হোক; তাকে পছন্দ করেন না এবং তিনি যুলুমকারীর যালিমের বদলা বা শাস্তি দিয়ে থাকেন। যেমন ইহুদী, খ্রিস্টান, মজুসী তাবৎ কাফির-মুশরিক যারা পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ ও সমস্ত শহরে অর্থাৎ পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুসলমানদের উপর যুলুম-নির্যাতন করছে, শহীদ করছে, সম্পদ লুন্ঠন করছে, মুসলমান মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করছে, সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করছে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত পালনে বাধা দিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এ সমস্ত সীমাহীন যুলুম-নির্যাতনের কারণে যুলুমকারী কাফির অর্থাৎ ইহুদী, মুশরিক, নাছারা, মজুসী ও মুনাফিকগুলি শাস্তিস্বরূপ একের পর এক খোদায়ী গযবে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে ইনশাআল্লাহ।
– ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী এবং বিধর্মী বা অমুসলিমদের এখনো সময় আছে তওবা করার। তওবা করে ঈমান আনা অথবা মুসলমান উনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সর্বপ্রকার যুলুম বন্ধ করা এবং ‘ভবিষ্যতে আর যুলুম করবে না’- এ ওয়াদায় আবদ্ধ হওয়া। অন্যথায় বন্যা, তুফান, টর্নেডো, সুনামী, তুষারপাত, মহামারি, দাবানল, ভূমিকম্প, ভূমিধস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, তেলের খনি ও পারমাণবিক চুল্লি বিস্ফোরণ, দুর্ভিক্ষ, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্যমন্দা ইত্যাদি দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও মুসলমান উনাদের প্রতি যুলুম-নির্যাতন করে অতীতের অনেক ক্বওম ধ্বংস হয়ে গেছে। একইভাবে বর্তমানে মুসলমান উনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যুলুম করার কারণে সন্ত্রাসী আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মহামারী (করোনা) ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালি তথা সমগ্র ইউরোপ, ইসরাইল, ই-িয়া, মায়ানমার ইত্যাদি বিধর্মী রাষ্ট্রগুলি খোদায়ী গযবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ও যাবে। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফিররা এখন অব্যাহত গযবের কারণে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে অধিকাংশ কাফিররা বন্যা, ঠাণ্ডা, তুষারপাত গ্রহাণু বিষ্ফোরণ, তাপদাহ, দাবানল, সুনামি, ভূমিধস, টর্নেডো মহামারী (করোনা) এবং আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ভয়ে দিন কাটায়। ভাবে, কখন যেন এ সকল গযব এসে তাদের ধ্বংস করে দেয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত মুসলমান উনাদের উপর যুলুমের শাস্তিস্বরূপ এখনই কাফিররা ফকির ও গৃহহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে এবং ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু এরপরও যদি তারা যুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তবে অতিসত্বরই তারা ডাস্টবিন থেকেও খাবার সংগ্রহে ব্যর্থ হবে। তারা আহাজারি কান্নাকাটি করেও খাবার পাবে না। তারা বর্তমানে ভূমিকম্প, তুষারপাত, বন্যা, দাবানল, টর্নেডো মহামারীর (করোনা) মত গযবে নিচিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে ইত্যাদি আযাব-গযব থেকেও আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ আযাব-গযবে নিপতিত হবে। স্মরণীয় যে, যে সকল মুসলমান দেশের শাসকগোষ্ঠী কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা, মুশরিক মজুসী এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে মুসলমান উনাদের প্রতি যুলুম করতে উস্কানী দিয়েছে ও দিবে এবং সহযোগিতা করেছে ও করবে তাদেরকেও তওবা করতে হবে; অন্যথায় তাদের পরিণতিও একই হবে।