ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম ৮০ হাজার মক্তব বন্ধ করে দেয় এবং প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
স্কুলের সেক্যুলার বইগুলো মাদরাসায় পড়ানো হচ্ছে কেনো? তাহলে মাদরাসার কিতাবাদি স্কুলে পড়ানো হবে না কেনো? বাংলা সাহিত্য, ইংরেজী, বিশ্বপরিচয়সহ আরো বেশ কয়েকটি বই রয়েছে যেগুলো স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সাথে সাথে মাদরাসায়ও একই বই পড়ানো হচ্ছে। ওই বইগুলো খুললে কখনোই মনে হবে না
রাশিয়ায় কমুনিস্টরা ক্ষমতা দখল করেই প্রথম যে কাজটি করেছিলো সেটি ছিলো- সম্পূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। কমুনিস্টরা নতুন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা পর্যন্ত বেশ কয়েকবছর তাদের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখে। এরপর তারা কমুনিজমকে শিক্ষার মূল পাঠ্য করে সেভাবেই পাঠ্যপুস্তকগুলো রচনা করে। কমুনিজমকে বাধ্যতামূলক
নতুন পাঠ্যবইয়ের মধ্যে অনেক সময়ই দেখা যায় অসংখ্য ইসলামবিরোধী ও মুসলিম সংস্কৃতির বিপরীত বিষয়। তন্মধ্যে শুধুমাত্র বর্ণ পরিচয় বা অক্ষর জ্ঞান অংশেই যে সকল ইসলামবিরোধী ও বিধর্মীয় বিষয় শেখানো হচ্ছে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো- ১) ঋ-তে শেখানো
মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলে মানুষ মুসলমান হিসাবে গণ্য হয়। কিন্তু তাকে যদি ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও আদর্শের সাথে পরিচিত করানো না হয়, তাহলে সে কি প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে? যে দেশের পাঠ্যপুস্তকের লেখাসমূহ বিধর্মীদের/নাস্তিকদের, সেদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি প্রকৃত মুসলমান থাকবে?
বেখবর বাংলার কোটি কোটি মুসলমান! মুশরিক ও নাস্তিক-মুরতাদদের প্লানগুলো একে একে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্তরে হিন্দুকরণ ও নাস্তিকদের পদায়নের পর এখন এ দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকগুলোকে সেই নীলনকশা বাস্তবায়নের আয়ত্তে আনা হয়েছে এবং হচ্ছে। ক্লাস ওয়ান
শিক্ষার্থীদেরকে সন্ত্রাসবাদ বিমুখ করার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (হারাম) সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে বাস্তবসম্মত নয়, বরং বাস্তবতার নীরিখে হওয়া উচিত ছিলো বিপরীত। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সর্বস্তরে সংস্কৃতির নামে হারাম কর্মকা- তুলে দিয়ে সঠিক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয।” সরকার যদি দেশের শিক্ষা কারিকুলাম বা সিলেবাস পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে দ্বীনী ইলম
বিধর্মীদের পূজার সময় সমস্ত সরকারি হাই স্কুল ও কলেজগুলো থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জোরপূর্বক পূজায় শরীক করানো হয়। নাউযুবিল্লাহ! ৯৮% মুসলমান অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশ, এই দেশ একটি স্বাধীন দেশ, ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তে গোসল করেছে এদেশ, মুফতে স্বাধীনতা পাওয়া যায়নি। অনেক
এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকের বিষয় তালিকার মধ্যে একটি বিষয় রয়েছে ‘চারু ও কারুকলা’। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি পড়তে বাধ্য হচ্ছে। চারু ও কারুকলা বিষয়টির মূল-ই হচ্ছে ছবি আঁকা, নকশা অঙ্কন, পুতুল, মূর্তি, ভাস্কর্য,
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ এই আমাদের বাংলাদেশ। এদেশের ৯৮ ভাগ জনগণ চায় মুসলমান হিসেবে থাকতে। কিন্তু মুসলমান সরকার এবং সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো- “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না।” যদি তাই হয়ে
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বইগুলোর দায়িত্ব প্রায়ই দেয়া হয়ে থাকে চিহ্নিত নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীদের। এ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস ইত্যাদিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যতগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের সম্পর্কে অনলাইন এবং অফলাইনে এদের কার্যকলাপ যতটুকু দেখেছি ও বুঝেছি এদের একজনকেও কখনো মুসলমান মনে