শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আব্বাজান হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলী আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিন ১৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ। তিনি গত ১৪৩৪ হিজরী সনেরর ১৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ মহান
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ কোটি রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, দয়া-দান, ইহসান মুবারক যার কারণে আমরাসহ সারা কায়িনাত আমাদের দোজাহানের মমতাময়ী মাতা আদরণীয় মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল
নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যে সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব নিসবত মুবারক-এ ধন্য হয়েছেন, ঐ সমস্ত পবিত্রতম সম্মানিত ব্যক্তিত্বগণ পবিত্র কা’বা শরীফ, কুরসী শরীফ এমনকি আরশে আযীমসহ যত মর্যাদা ও ফযীলতপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছেন তার চেয়েও
এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ مَسْعُوْدٍ الْأَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى صَلَاةً لَـمْ يُصَلِّ فِيْهَا عَلَىَّ وَلَا عَلـٰى اَهْلِ بَيْتِـىْ لَـمْ تُقْبَلْ مِنْهُ.
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা শুয়ারা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ
সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার পূর্বাভাস: ১৭ই রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ সম্মানিত বদর জিহাদ সংঘটিত হয়। আর ১৮ই রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাবতিতে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি যদি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন, তাহলে অবশ্য অবশ্যই নবী ও রসূল হিসেবে তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ হুবহু ক্বায়িম-মাক্বাম
পবিত্র ছফর শরীফ মাসটিও সম্মানিত ও পবিত্র একটি মাস। এটি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নির্ধারিত পছন্দীয় মাস। এ মাস অনেক নিয়ামত, বরকত, রহমতে পূর্ণ। কারণ এ মাস হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- قُل لَّا اَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبٰـى ۗ وَمَن يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهٗ فِيْهَا حُسْنًا ۚ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ. অর্থ: “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
একদিন হযরত রাবেয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার কাছে দু’জন দরবেশ এলেন। মেহমানদারী করারও প্রয়োজন কিন্তু ঘরে ছিল মাত্র ২টা রুটি। তিনি দু’জন দরবেশকে তা পরিবেশনও করলেন। উনারা যখন খাদ্য গ্রহণ করতে যাবেন, তখন একজন সুওয়ালকারী বা ভিক্ষুক এলো। তিনি দরবেশ উনাদের
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক ২৮শে পবিত্র ছফর শরীফ- হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عن حضرة علي عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أهل بيتي أمان لأمتي অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর