“আব্দ” অর্থ ‘আনুগত্য স্বীকারকারী’ আর এর সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক যুক্ত হয়ে আব্দুল্লাহ অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বশ্যতা স্বীকার করতেন। তিনি যদি মূর্তি পূজারী হতেন তাহলে উনার নাম হতো ‘আব্দুল উজ্জা। নাউযুবিল্লাহ! অথচ উনার নাম মুবারক
ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন নেক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমেই। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমেই এই কৃতিত্ব তথা ফযীলত অর্জন করেন। যুগে যুগে যারাই হাক্বীক্বী
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার অমূল্য নছীহত মুবারক শুনার জন্য উনার কাছে প্রতিদিন অনেক মহিলারা আসতেন। তিনি উনাদেরকে সাধারণত যেসব নছীহত মুবারক করতেন তার কতিপয় অত্যন্ত জরুরী নছীহত মুবারক নিম্নে পেশ করা হলো। উল্লেখ্য, যে মহিলা এই
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পূর্বে হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বিনতে আমিস উনাকে ডেকে বলেছিলেন: “আমার পবিত্র জানাযা মুবারক নেয়ার সময় এবং দাফন মুবারক করার সময় পর্দার পুরো ব্যবস্থা রাখতে হবে
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল ‘আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহললিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত যাওজুম মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে মানুষ বড়ই বেখবর। কিন্তু আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, عَنْ ام المؤمنين حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَوْحَى إِلَيَّ أَنْ زَوِّجَ كَرِيـْمَتَيَّ مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মোট তিন জন সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ছিলেন। উনাদের মধ্যে একজন সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। আর বাকী দুই জন সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমাস সালাম উনারা হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতুনা
সম্মানিত পরিচিতি মুবারক: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আবনা তথা ছেলে আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং মহাসম্মানিতা বানাত তথা মেয়ে আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন মোট আট (৮) জন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, উনার শান মুবারকে, উনার মতামতকে সমর্থন করে এমনকি উনার জন্য সাক্ষীস্বরুপ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বিশের অধিক আয়াত শরীফ নাযিল করেন। যথা- ১। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘খিলাফতের সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সিরিয়ায় যে অভিযান প্রেরণ করেন তাতে হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত শুরাহবীল ইবনে হাসানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আমীর
চলে গেল পবিত্র ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ ।উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন।তিনি হলেন হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা । সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি