পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে একটি দল হবে নাজাতপ্রাপ্ত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নাজাতপ্রাপ্ত দলটির
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনি একদিন নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজি করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমাদেরকে জান্নাতের বিবরণ দান করুন। তখন নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনি একদিন নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজি করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমাদেরকে জান্নাতের বিবরণ দান করুন। তখন নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
কুল-মাখলুক্বাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম, সম্মানিত, নূরানী আহাল-ইয়াল, পরিবার-পরিজন উনারাই হচ্ছেন ‘আহলু বাইত’ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম সারির অন্তর্ভুক্ত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে আমি (হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম),
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, (হে বিশ্ববাসী!) আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। আর তোমাদের পক্ষে
মুসলমান এখনো জান্নাত আশা করে জাহান্নামকে ভয় পায়। আর জান্নাত-জাহান্নামের আমল সম্পর্কেও তারা অজ্ঞাত নয়। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে জান্নাত-জাহান্নামের মূলত মালিক- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মর্যাদা মুবারক, মূল্যায়ন মুবারক, শান-মান
“আব্দ” অর্থ ‘আনুগত্য স্বীকারকারী’ আর এর সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক যুক্ত হয়ে আব্দুল্লাহ অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বশ্যতা স্বীকার করতেন। তিনি যদি মূর্তি পূজারী হতেন তাহলে উনার নাম হতো ‘আব্দুল উজ্জা। নাউযুবিল্লাহ! অথচ উনার নাম মুবারক
আক্বীদা বা ঈমান হচ্ছে –সমস্ত কিছুর মূল । যার আক্বীদায় বিন্দুমাত্র ত্রুটি বা ভুল থাকবে অর্থাৎ কুফরী থাকবে, তার কোন আমলই আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হবেনা। তাই মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অসংখ্য স্থানে আমলের পূর্বে ঈমান উনার
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা জারিয়াত উনার ৫৬নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি জিন এবং ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক মানব জাতিকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দাইয়ুছ পবিত্র জান্নাত উনার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।” যে ব্যক্তি নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থদের পর্দা করায় না- সে ব্যক্তিই দাইয়্যুছ। এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে বুঝা গেল যে,
যে ১০ টি প্রাণী জান্নাতে যাবে তাদের তালিকা জানা দরকার। কারো জানা থাকলে জানান।