অনেক মুসলমান আজকাল কথায় কথায় বলে থাকে- ‘আরে বিধর্মীদের সাথে আত্মিক বন্ধুত্ব করলে ক্ষতি কি? কোনো দোষ তো দেখি না। তারা তো আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।’ নাউযুবিল্লাহ! এমন কথা যেসব মুসলমান বলে থাকে, দেখা যায়- তারা কেউ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই মুসলমানগণ উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার নিমিত্তে নিজেদের জান-মাল কুরবান করতে বিন্দু পরিমাণ ইতস্ততঃবোধ করেননি। উনারা বীরদর্পে বাতিলের মুকাবিলা
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা কার নিকট থেকে দ্বীন শিক্ষা করতেছ তা দেখে নাও।” অর্থাৎ যার নিকট হতে দ্বীন শিক্ষা করবে তাকে যাচাই-বাছাই করে নাও। এখন মুসলমানগণ যার পিছনে ইক্তিদা করবে, তাকে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে।
রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম ঘোষিত, ৯৮ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থানা কিংবা জেলা এবং সেখানকার রাস্তাঘাট, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি হিন্দুয়ানী বা বিজাতি বিধর্মীদের নামে নামকরণ থাকার কারণে ইচ্ছা অনিচ্ছায় একজন মু’মিন মুসলমান উনাদেরকে কথাবার্তা, আলোচনা লেখনী ইত্যাদিতে সেগুলোর নাম স্মরণ করতে
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা এক চরম দুরবস্থায় দিনাতিপাত করছে। কাফির-মুশরিকরা তো রয়েছেই, সাথে সাথে কাফির-মুশরিকদের সন্তুষ্টি অর্জনে মুসলিম দেশগুলোর শাসকরাও নিজ দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। কথিত ‘অসাম্প্রদায়িক’ সাজার জন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার খর্ব করে, হিন্দু-উপজাতিদের প্রাধান্য বিস্তারে যাবতীয় সহায়তা
সারা পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে সুবিখ্যাতদের অন্যতম একজন হলেন খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের পর সে সময়কার অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাবে’য়ী আমরুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত সাইয়্যিদুনা হযরত হাসান বসরী
ইদানীং পত্র-পত্রিকা-মিডিয়াতে একটি সংবাদ খুব হাইলাইট করে প্রচার করা হয়। সেটা হলো- আজ অমুক জেলা, কাল অমুক উপজেলা কিংবা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম বিষয়ে জাহিল প্রশাসন এবং বিদেশী বিজাতি এনজিও গং খুব তৎপরতার সাথে জেলা,
মুসলমান উনাদের জান, মাল, দ্বীন, ঈমান-আমল ইত্যাদীর শত্রু ইহুদী, মুশরিক ও নাছারারা। এই শত্রুরা সবসময় চায় এবং ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে কি করে, মুসলমান উনাদের ক্ষতি করা যায়, ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করা যায়, যুলুম-নির্যাতন করা যায়, শহীদ করা যায়, সর্বোপরি মুসলমান উনাদের
আখিরী যামানা বলে কথা। আসলে আখিরেরও আখির চলতেছে বর্তমানে। নতুবা যেখানে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল ইজ্জত তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মাঝে বলে দিয়েছেন-
পবিত্র বদরের জিহাদে আব্দুল উজ্জা নামক এক মুনাফিক ধরা পড়লো। এ মুনাফিকের কাজ ছিলো সারা দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান উনার মানহানী করে কুৎসা রটনা করা এবং সেগুলো দিয়ে গান-বাজনা বানিয়ে প্রচার করা।
যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ সূরা বাক্বারা শরীফ ১৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ ঈমান এনেছেন তদ্রƒপ অন্যান্য সকলকে
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল জিন-ইনসানকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মতো ভয় করো, তোমরা মারা যেও না মুসলমান না হয়ে।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১০২) মহান আল্লাহ পাক এখানে