১) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ছোট-বড়, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই ফরয। ২) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ এমন একটি আমল যা জিন ও মানুষ ছাড়া সমস্ত মাখলুকাতই দায়েমীভাবে পালন করে থাকে। ৩) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফই একমাত্র আমল যা দায়েমীভাবে সারা
সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ। কেননা স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি তা তদারকি মুবারক করে থাকেন وعد الله الذين امنوا وعملوا الصالحات لـهم
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি উম্মতদেরকে বলে দিন মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত লাভ করার কারণে তারা যেন আনন্দ, খুশি প্রকাশ করে।”
বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফখরুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, শাইখুল ইসলাম হযরত ইমাম আল্লামা আবুল ফারাজ নূরুদ্দীন আলী ইবনে ইবরাহীম ইবনে আহমদ ইবনে ‘আলী ইবনে ‘উমর হালাবী মিছরী ক্বাহিরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি হযরত আলী নূরুদ্দীন ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবী রহমতুল্লাহি
সুওয়াল: নামায রোযা পালনের খবর নাই, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে টানাটানি। নাউযুবিল্লাহ! সুওয়াল: পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের আগে নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ঠিকমত আদায় করতে হবে। কারণ কিয়ামতের ময়দানে এসবের হিসেব
হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুয়াত্তা শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি তোমাদের জন্য দুটি পবিত্র নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি, এই দুটি
পবিত্র মাক্কী সূরাসমূহ উনাদের অন্যতম একখানা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই সূরা সমূহ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি মানবজাতিকে সম্বোধন করে (যেমন- يَا اَيُّهَا النَّاسُ উল্লেখ করে) পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। পক্ষান্তরে পবিত্র মাদানী সূরাসমূহ উনাদের অন্যতম একখানা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْـنَ অর্থ: আপনি বলুন: সত্যবাদী হলে দলীল পেশ কর। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১১) বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফক্বীহ, ইমাম, আল্লামা আবু সাঈদ মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি
যাদের অন্তরে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা নবীজীর আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সম্ভব। আল্লাহ পাক বলেন, النَّبِيُّأَوْلَىٰبِالْمُؤْمِنِينَمِنْأَنفُسِهِمْ অর্থ: হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ মুবারক । আর মাত্র ৩৩০দিন পর আবার ও ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ ফিরে আসবেন। সম্ভব্য তারিখ:১৪ই জানুয়ারী ২০১৪ ঈসায়ী ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূ’রা বিভিন্ন পত্র–পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘মীলাদুন নবী’ শব্দের শরয়ী কোন ভিত্তি নেই, তাই
মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী ও উম্মতদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু
আবু লাহাব একাধারে বার বছর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করেছিল। মহান আল্লাহ পাক তিনি আবু লাহাব ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সকলের ধ্বংসের ব্যাপারে পবিত্র সুরা লাহাব নাযিল করেছেন এবং তারা আযাবে-গযবে ধ্বংস হয়ে জাহান্নামের কীটে